ঢাকা টু থাইল্যান্ড বিমান ভাড়া ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড, বিশেষ করে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ অনেক বাংলাদেশির জন্য জনপ্রিয়। থাইল্যান্ড তার সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, বুদ্ধ মন্দির, সুস্বাদু খাবার, এবং সহজে প্রবেশযোগ্যতা জন্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তাই ঢাকা টু থাইল্যান্ড বিমান ভাড়া সম্পর্কে সঠিক ও বিস্তারিত তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। থাইল্যান্ড ভ্রমণ সহজ করতে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সরাসরি এবং ট্রানজিটসহ ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। চলুন, ২০২৪ সালের জন্য ঢাকা টু থাইল্যান্ড বিমান ভাড়ার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা যাক।

টিকিটের দাম জানুন
🔽

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড বিমান ভাড়া: বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের তালিকা

ঢাকা থেকে ব্যাংকক অথবা থাইল্যান্ডের অন্যান্য শহরে ভ্রমণের জন্য একাধিক এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সেবা, রুট, ট্রানজিট পয়েন্ট, এবং বিমানের শ্রেণি অনুযায়ী টিকিটের দাম ভিন্ন হতে পারে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য এয়ারলাইন্স এবং তাদের প্রস্তাবিত ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  1. বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
    বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশের জাতীয় এয়ারলাইন্স, সরাসরি ঢাকা থেকে ব্যাংকক ফ্লাইট পরিচালনা করে। নন-স্টপ ফ্লাইট হওয়ায় এটি সময় বাঁচাতে চমৎকার একটি পছন্দ।
  2. ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
    ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সও ঢাকা থেকে ব্যাংকক সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাদের সেবা, সময়মত ফ্লাইট এবং ভালো কাস্টমার সার্ভিসের জন্য এই এয়ারলাইন্সটি বেশ জনপ্রিয়।
  3. এয়ার ইন্ডিয়া
    এয়ার ইন্ডিয়া ভারতীয় এয়ারলাইন্স হওয়ায় তাদের ফ্লাইটগুলো সাধারণত দিল্লি বা মুম্বাইতে ট্রানজিট নেয়। এটি একটি ভালো অপশন হতে পারে, বিশেষ করে যারা ভারতের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে চান।
  4. সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স
    সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স তাদের দুর্দান্ত সার্ভিস এবং ট্রানজিট সুবিধার জন্য বিখ্যাত। তারা সিঙ্গাপুরে একটি সংক্ষিপ্ত ট্রানজিট দিয়ে থাইল্যান্ডে যাত্রী পৌঁছে দেয়।
  5. থাই এয়ারওয়েজ
    থাই এয়ারওয়েজ সরাসরি ঢাকা থেকে ব্যাংকক ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং তাদের সেবা মানও অত্যন্ত ভালো।

ঢাকা টু থাইল্যান্ড বিমান ভাড়া ২০২৫

এয়ারলাইন্সের নামইকোনমি ক্লাস ভাড়া (টাকা)বিজনেস ক্লাস ভাড়া (টাকা)ফ্লাইটের সময়কাল
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স২৮,০০০ – ৮৮,৫০০১,০০,০০০ – ৩,৫০,০০০২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স২৬,০০০ – ৮৫,৫০০৮০,০০০ – ১,২০,০০০২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
এয়ার ইন্ডিয়া৩০,০০০ – ৩,০০,০০০১,৫০,০০০ – ৩,২৫,০০০৮ – ১২ ঘণ্টা (ট্রানজিট সহ)
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স১,০০,০০০ – ২,৪০,০০০২,০০,০০০ – ৩,২০,০০০৭ – ১০ ঘণ্টা (ট্রানজিট সহ)
থাই এয়ারওয়েজ৩৫,০০০ – ৫৩,০০০২,০০,০০০ – ২,৯০,০০০২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট – ৩ ঘণ্টা

বিমান ভাড়া নির্ধারক কারণসমূহ

ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের ফ্লাইট ভাড়া বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। এখানে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

  1. মৌসুমভেদে ভাড়া
    নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে বিমানের টিকিট এর দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে, কারণ এ সময়ে অনেক পর্যটক ভ্রমণ করেন। গরম মৌসুম বা বর্ষাকালে ভাড়া তুলনামূলক কম হতে পারে।
  2. আগাম বুকিং
    সাধারণত ফ্লাইটের টিকিট আগাম বুক করলে ভাড়ায় কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়। ভ্রমণের তারিখের কয়েক মাস আগে টিকিট কেটে ফেলা ভালো।
  3. ফ্লাইটের ক্লাস
    ইকোনমি, বিজনেস বা ফার্স্ট ক্লাস অনুযায়ী টিকিটের দাম পরিবর্তিত হয়। ইকোনমি ক্লাস সাধারণত সাশ্রয়ী মূল্যের হলেও বিজনেস এবং ফার্স্ট ক্লাসের ভাড়া অনেক বেশি।
  4. এয়ারলাইন্সের ধরন
    বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সেবার মান এবং সুবিধার উপর ভিত্তি করে তাদের টিকিটের দাম ভিন্ন হতে পারে। কিছু এয়ারলাইন্স কম খরচে ফ্লাইট অফার করে, তবে প্রিমিয়াম সেবাদানকারী এয়ারলাইন্সগুলো তুলনামূলক বেশি খরচ করে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে কত সময় লাগে?

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডের সরাসরি ফ্লাইটে সাধারণত ২ ঘন্টা ২৫ মিনিট থেকে ৩ ঘন্টা সময় লাগে। নন-স্টপ ফ্লাইটগুলো দ্রুত পৌঁছালেও ট্রানজিট ফ্লাইটগুলোতে সময় বেশি লাগে। ট্রানজিট ফ্লাইটগুলোতে সময় ৮ থেকে ২১ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে, এটি এয়ারলাইন্স এবং ট্রানজিট লোকেশনের উপর নির্ভর করে।

কিভাবে সস্তায় টিকিট কিনবেন

ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড সস্তায় ভ্রমণ করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন:

  • অফ-সিজনে ভ্রমণ করুন: মৌসুমের বাইরে টিকিটের দাম সাধারণত কম থাকে।
  • অ্যাডভান্স বুকিং: ভ্রমণের প্রায় ১-২ মাস আগে টিকিট কেটে ফেললে সাশ্রয়ী ভাড়া পেতে পারেন।
  • ফ্লাইট ডিল খুঁজুন: অনেক এয়ারলাইন্স বিশেষ ছাড় বা প্রমোশনাল অফার দিয়ে থাকে। এ ধরনের অফারগুলো খুঁজে নিলে ভালো দামে টিকিট কিনতে পারেন।
  • বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের তুলনা করুন: একটি নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের টিকিট না দেখে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের সাথে তুলনা করুন। এতে আপনি ভালো দামে টিকিট পেতে পারেন।

ঢাকা টু থাইল্যান্ডের কেন জনপ্রিয় গন্তব্য?

থাইল্যান্ড বাংলাদেশের মানুষের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক গন্তব্য। এটি প্রধানত নানান কারণের জন্য জনপ্রিয়:

  1. পর্যটন: থাইল্যান্ডে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, বুদ্ধ মন্দির এবং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
  2. ব্যবসা ও চিকিৎসা সেবা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে থাইল্যান্ড ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবার জন্য অনেক বাংলাদেশি এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
  3. ভিসা সুবিধা: থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সহজ ভিসা প্রক্রিয়া এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা রয়েছে, যা ভ্রমণকে আরো সহজ করে তোলে।

শেষ কথা

ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ভ্রমণকারীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এয়ারলাইন্স, ফ্লাইটের শ্রেণি, মৌসুম, এবং বুকিংয়ের সময় অনুযায়ী ভাড়া ভিন্ন হতে পারে। সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে, বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের অফার এবং ডিল অনুসন্ধান করে সাশ্রয়ী মূল্যে টিকিট কেনা সম্ভব।

2 Comments

  1. Gaffar Khan March 12, 2025
  2. Rubel barua May 25, 2025

Leave a Reply